অর্থনীতি নিয়ে বিষম বেকায়দায় দিন কাটছে বাংলাদেশের। সেটি শুধু সাম্প্রতিক কয়েক মাসেই নয়, বিগত কয়েক বছর ধরেই। বাংলাদেশের মানুষের কাছে হতাশা ও উদ্বেগের আরেক নাম অর্থনীতি। সেই হতাশা ও উদ্বেগ থেকে জন্ম নেওয়া ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছিল জুলাই-অগাস্টের সরকার পতন আন্দোলনেও।
খেলাপি ঋণ আদায়ে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের ১ হাজার ৮৬০ শতাংশ জমি নিলামে উঠছে। জনতা ব্যাংকে ১ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য আগামী ২০ নভেম্বর নিলাম ডাকা হয়েছে। গ্রুপটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন লিমিটেডের কাছে এই টাকা অনাদায়ি হয়ে পড়েছে।
গত কয়েক দশকে দেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার হয়ে গেছে। এ নিয়ে পরিষ্কার কোনো গবেষণা এখনো হয়নি। ফলে মোট কী পরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা সম্ভব নয়। ব্যাংকের মতো আনুষ্ঠানিক মাধ্যম ব্যবহার করে ১৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচারের কথা জানা যায়। বিভিন্ন ঘটনার ভিত্তিতে ধারণা করা যায়, বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ১২-১৫ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পাচার হয়েছে।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেল নিয়ে যে ধরনের আশা ও সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল, এক বছর পর সেই আশা ক্রমশ নিরাশায় রূপ নিচ্ছে। আশা তো দেখাই যাচ্ছে না বরং প্রতিদিন কয়েকগুণ লোকসান গুনতে হচ্ছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্রগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, গত ১৫ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালীরা যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তার বেশির ভাগই তারা বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠার ৩০ বছরে পদার্পণ উদযাপন করছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি করটিয়া উপশাখা। রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর করটিয়া উপশাখায় আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত এবং কেক কাটার আয়োজন করা হয়।
সবাই একসাথে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে যাবেন না। যেটুকু না তুললেই নয় সেটুকুই তুলুন। এক সাথে টাকা তুলতে গেলে টাকা পাবেন না। এরকম পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে গ্রাহকদের উদ্দেশে সতর্ক ও সহনশীল হওয়ার পরামর্শমূলক বার্তা দেন গভর্নর।
রাষ্ট্রীয় জনতা ব্যাংক নাসা, বিসমিল্লাহ এবং এননট্যাক্স গ্রুপকে চার হাজার ২২৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করেছে। আর ন্যাশনাল ব্যাংক এস আলম গ্রুপের দুই হাজার ২৮৩ কোটি টাকার মওকুফ করে দিয়েছে। এভাবে ব্যাংক খাতে গত তিন বছরে সব মিলিয়ে আট হাজার ৮০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। অথচ নিয়ম অনুসারে এসব ঋণে সুদ মওকুফ করার জো নেই।
ধরুন ১৫০ টি আসন আছে। আপনি তিনটি এজেন্সিকে ১০০টি দিয়ে রাখলেন। তারা নাম মাত্র মূল্যে বুকিং দিয়ে রেখে দিলো। শেষ পর্যন্ত চড়া দামে কিছু বিক্রি করলো। বাকীগুলো শেষ মুহূর্তে বিমানকে ফেরত দিয়ে দিলো। এ অবিক্রীতগুলো পরে আর বিক্রি করা যায় না। আবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে এখন বিমান টিকেট বিক্রি করলেও এই সিস্টেমটাও ম্যানিপুলেশনের সুযোগ আছে। বলছিলেন একজন বিশ্লেষক।