ভারতে ধর্মসভায় পদপিষ্ট হয়ে ১২০ জনেরও বেশি লোকের প্রাণহানি

প্রিয়দেশ ডেস্ক
2 July 2024 8:05 pm
আতঙ্কে হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মারা পড়ে মানুষ

ভারতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা প্রায়শই ঘটে। ছবি : এনডিটিভি

ভারতে আবারো পদদলিত হয়ে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটলো। এবারকার ঘটনা উত্তর প্রদেশের হাতরাসে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে। এখানে আজ মঙ্গলবার পদদলিত হয়ে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২০ জনের নিহত হওয়ার খবর মিলেছে।

মঙ্গলবার ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার সিকান্দ্রারাউ এলাকার রতিভানপুর গ্রামে হাতরাস নামে একজন ধর্মীয় প্রচারক তাবু টানিয়ে ‘সৎসঙ্গ’ অনুসারীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় ওই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ধারনা করছে, অনুষ্ঠানস্থলে অনেক মানুষ থাকায় একপর্যায়ে শ্বাসরুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর অনেক মানুষ আতঙ্কে একসঙ্গে সেখান থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। ওই সময় পদপিষ্ট হয়ে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটে।

প্রার্থনার ওই আয়োজনটি যে সময়ে চলছিল তখন ওই অঞ্চলে প্রচণ্ড গরম ছিল বলেও জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। আলীগড় রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল শলভ মাথুর বলেন, `এটি ছিল ধর্ম প্রচারক ভোলে বাবার সৎসঙ্গ সভা।’

অবশ্য, অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজন জানিয়েছেন, সৎসঙ্গ শেষ হওয়ার পর সবাই বের হওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ভারতে প্রার্থনা বা ধর্মসভা, মেলায় নিদারুণ ভীড়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রায়শ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ছবি : ক্রিস্টিয়ান সায়েন্স মনিটর

ভারতে প্রার্থনা বা ধর্মসভা, মেলায় নিদারুণ ভীড়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রায়শ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ছবি : দ্য ক্রিস্টিয়ান সায়েন্স মনিটর

হিন্দুস্থান টাইমস জানাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের রতিভানপুরে ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষ হতেই একটা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ওই অনুষ্ঠানে বিপুল জমায়েত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে। পদপিষ্টের পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর তাতে‌ই বেশ কয়েক জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইটাহ’র সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ রাজেশ কুমার জানান, হাথরসের মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। যারা বেঁচে আছেন তাদের কাছ থেকে গোটা বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

আলিগড় রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল শলভ মাথুর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে ইটাহ ও হাথরাস জেলার সীমান্তে এটা ছিল ধর্ম প্রচারক ভোলে বাবার সৎসঙ্গ সভা। ওই জায়গায় জমায়েত হওয়ার জন্য সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ওই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং হাথরাস জেলা ও এর আশেপাশের কর্মকর্তাদের উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, এডিজি আগ্রা এবং আলিগড়ের কমিশনারের নেতৃত্বে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।