কমপ্লিট শাটডাউনে স্থবির দেশ, বিচ্ছিন্ন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক
18 July 2024 6:39 pm
ছাত্রদের ডাকা শাটডাউনে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ।

ছাত্রদের ডাকা শাটডাউনে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশ। হাইওয়েগুলোতে চলছে না কোনো যানবাহন। রাজধানীও কার্যত বিচ্ছিন্ন সারাদেশ থেকে। রাজধানীসহ সারাদেশে সংঘর্ষেরও খবর মিলেছে। সংঘর্ষে এরমেধ্যেই ১০ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীতে হাসপাতালগুলো আহত শিক্ষার্থীদের দিয়ে ভরে উঠেছে। প্রতি মূহুর্তে সেখানে নতুন আহত শিক্ষার্থী আসছে। আহত হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এরমধ্যে দুপুরে রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি ভবনেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে রিসিপশনে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

সকালে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কমপ্লিট শাটডাউনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঢাকাসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার শনির আখড়ায় নতুন করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ। সেখানে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলেছে। যাত্রাবাড়ী ও শনির আখড়া এলাকায় সেসময় পুলিশের সাথে স্থানীয়দের ব্যাপক সংঘর্ষ হয় এবং হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজাসহ শনির আখড়ার অন্তত ২০টি জায়গায় আন্দোলনকারীরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন বলে বলছে পুলিশ।

বুধবার রাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাতে তিনি শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

কমপ্লিট শাটডাউন

বুধবার মধ্যরাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক টিম, শাটডাউনে দেশের সকল অফিস আদালত সব বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এদিন সড়কপথ, রেলপথ অবরোধ করা হবে, তবে অ্যাম্বুলেন্স, ইমার্জেন্সি ও গণমাধ্যম পরিবহন এই শাটডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।

বৃহস্পতিবার দিনের শুরু থেকেই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে যানচলাচল খুবই সীমিত ছিল।

সাধারণ দিনে ঢাকার অফিস আদালত খোলা থাকলে সকাল সাড়ে সাতটা থেকেই সড়কগুলোতে যানজট শুরু হয়। কিন্তু আজ সড়কে তেমন কোনও ব্যস্ততা লক্ষ করা যায়নি। বরং, রাস্তায় যানবাহন ও মানুষ, উভয়ের উপস্থিতিই লক্ষ্যনীয় মাত্রায় কম ছিল।

কাকলি টু মহাখালী -- ফুল ব্লকড। নিকুঞ্জ টু এয়ারপোর্ট -- ব্লকড এক্সপ্রেস ওয়ে ও ব্লকড। মিরপুর ১০,১৪, শিয়াল বাড়ি মোড় -- ব্লকড। বাসাবো, বৌদ্ধ মন্দির-- ব্লকড। মালিবাগ চৌধুরীপাড়া রোড -- ফুল ব্লকড। মতিঝিল -- ব্লকড। ধানমন্ডি ২৭, সাইন্সল্যাবের মোড়, নিউ মার্কেট -- ব্লকড। নতুন বাজার, টু রামপুরা-- ব্লকড। উত্তরা ব্লক ব্যারিকেড জসিম উদ্দিন এভিনিউ টু আজমপুর। শনির আখড়াও ব্লকড।

কাকলি থেকে মহাখালী, নিকুঞ্জ থেকে এয়ারপোর্ট, এক্সপ্রেস ওয়েও ব্লকড। মিরপুর ১০,১৪, শিয়াল বাড়ি মোড় ব্লকড। বাসাবো, বৌদ্ধ মন্দির ব্লকড। মালিবাগ চৌধুরীপাড়া রোড ফুল ব্লকড। মতিঝিল ব্লকড। ধানমন্ডি ২৭, সাইন্সল্যাবের মোড়, নিউ মার্কেট ব্লকড। নতুন বাজার থেকে রামপুরা ব্লকড। উত্তরা ব্লকড ব্যারিকেড জসিম উদ্দিন এভিনিউ থেকে আজমপুর। শনির আখড়াও ব্লকড। ছবি : সংগৃহীত

এর আগে বুধবারই দেশের সকল স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা এসেছে। তার মাঝে, ঢাকার অনেক বেসরকারি অফিসও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতিতে অফিস করছেন বলে জানা গেছে।

তবে শাটডাউনের সময় জরুরি পরিবহন ছাড়া সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও, গতকাল রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও মালিক সমিতি জানিয়েছে যে বৃহস্পতিবার গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার নির্দেশ আছে তাদের প্রতি।

যদিও সকাল নয়টায়ও রাস্তাঘাটে বাসের আধিক্য চোখে পড়েনি। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে কিছু ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল, কিছু সংখ্যক সিএনজি এবং ব্যক্তিগত গাড়ি দেখা দেছে।

বনানী, নতুন বাজার, প্রগতি সরণী, কুড়িল, বনানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক দিনের তুলনায় খুবই কম এবং ব্যক্তিগত গাড়িও নেই বললেই চলে। রাস্তাঘাটে দুই একটা বাস চলতে দেখা গেলেও যাত্রীরা তাতে উঠতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসি ও রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বাড়তি পুলিশ দেখা গেছে।

এছাড়া, ঢাকার আজিমপুর, নীলক্ষেত, শ্যামলী, মহাখালী, গুলশান এলাকায়ও একই দৃশ্য দেখা গেছে। বিবিসি সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, নীলক্ষেতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে পুলিশের অবস্থান আছে।

মিরপুর থেকে বনানী – এই পুরো পথে তিনি “মাত্র তিনটি লোকাল বাস” দেখেছেন এবং বাসের জন্য অপেক্ষমান যাত্রী সংখ্যাও ছিল কম।

শিক্ষার্থীদের দাবীর সাথে একাত্মতা

চলমান আন্দোলনে এখন পর্যন্ত সারাদেশে ছয়জন নিহত হয়েছেন এবং আহতের সংখ্যা শতাধিক।

আন্দোলনের শুরুতে এটি শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের মাঝে সীমিত থাকলেও ক্রমে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এতে সমর্থন দেয়। এর মধ্যে বিএনপি, জাতীয় পার্টি,এবং হেফাজতে ইসলামসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র মওলানা মীর ইদ্রিস বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে বিকেল পাঁচটায় কোটা সংস্কারের দাবীতে সমর্থন জানিয়ে সমাবেশ করবে তারা।

এর আগে, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার সন্ধ্যায় হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে।

বুধবার যা যা হয়েছে

কোটা সংস্কারের দাবিতে মঙ্গলবার ছয়জন নিহত হয়, তাদের স্মরণে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল বের করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

নিহত ছয় জনের উদ্দেশে পৃথকভবে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে বিরোধী দল বিএনপি। দলের নেতাকর্মীরা গতকাল বায়তুল মোকাররমে গায়েবানা জানাজা পড়েন। এসময় ওই এলাকায় নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।

তবে বুধবার দিনের শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনির্দষ্টকালের জন্য বন্ধ করার ঘোষণা আসে এবং শিক্ষার্থীদেরকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

অনেকে সেই সিদ্ধান্ত মেনে বাড়ি চলে গেলেও কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নেয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনভর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে শিক্ষার্থী, পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে নানামুখী উত্তেজনা চলে।

এক পর্যায়ে পুলিশ টিয়ার শেল ছোড়ে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সভায় হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পর রেজিস্ট্রার ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভের এক পর্যায়ের হল প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটরদেরকে তালাবন্দী করে রাখে এবং কর্তৃপক্ষ পরে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়।

তবে পরিস্থিতির অবনতি হওয়া শুরু করে বুধবার বিকেল থেকে, ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনকারীদেরকে সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ে।

ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান এবং বলেন যে শিক্ষার্থীরা আদালত থেকে ন্যায়বিচার পাবেন। নিহতের হত্যার বিচারের কথাও বলেন তিনি।

এর বাইরে, গতকাল দিনভর যেসব সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের অনেকে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ছড়িয়ে পড়ছে সংঘর্ষ বাড়ছে হতাহত

এরমধ্যে দেশজুড়ে সংঘর্ষে অন্তত দশ জন নিহত হওয়ার খবর দিচ্ছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। রাজধানীর উত্তরায় পাঁচ জনসহ রাজধানীতে অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে হাসাপাতালগুলো। আহত শতাধিক।

বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে আহত শতাধিক ব্যক্তিকে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে চারজনের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেন হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক মিজানুর রহমান। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উত্তরার বেসরকারি আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, তিনি বেসরকারি নর্দান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন।

হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সাব্বির আহমেদ খান জানান, এই শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

ধানমন্ডি এলাকায় সংঘর্ষে আহত ফারহান ফাইয়াজ নামে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে এক শিক্ষার্থীকে মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে রাজধানীর রামপুরায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম দুলাল মাদবর বলে নিশ্চিত করেছে বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তিনি পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন।

বিকেলের দিকে রাজধানীর আফতাবনগরে আরো এক শিক্ষার্থী নিহতের খবর পাওয়া যায়। একাদশ শ্রেণিতে সদ্য ভর্তি হওয়া এই শিক্ষার্থীর নাম মো. জিল্লুর শেখ। রাজধানীর ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজের ছাত্র সে। কলেজটির অধ্যক্ষ আরিফ আহমেদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় সাভারে এক শিক্ষার্থী নিহতের খবর পাওয়া গেছে। সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এমআইএসটির এক শিক্ষার্থীকে নেয়া হয়।

এ হাসপাতালের ইনচার্জ ইউসুফ আলী বলেন, মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ইয়ামিন নামে এক শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। তার গলায় আইডি কার্ড ছিল। তবে সেটা অস্পষ্ট থাকাতে পুরো নাম ভালোভাবে বোঝা যায়নি। এর আগে, মাদারীপুরে সংঘর্ষ চলাকালে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার ফায়ার সার্ভিস।

বিটিভি ভবনে আগুন

শাটডাউন কর্মসূচির মধ্যেই ঢাকার রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনে হামলা লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন চ্যানেলটির কর্তৃপক্ষ। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি সেখানে রওনা দিলেও আন্দোলনকারীদের বাধায় গাড়ি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি বলে খিলগাঁও ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা বিকাল ৩টা থেকে রাস্তায় অবস্থান করার পরও বিটিভিতে ঢুকতে পারিনি। প্রচণ্ড সংঘর্ষ হচ্ছে। পুলিশের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও পাইনি আমরা। পরে আমাদের গাড়ি সাড়ে ৪টার দিকে ফিরে আসে।

বিটিভির প্রধান প্রকৌশলী মাসুদ ভূইয়া বলেন, হঠাৎ করে তারা ভবনে প্রবেশ করে। এ সময় পার্কিংয়ে থাকা গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন দেয়। পরে রিসিপশনেও আগুন দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসকে আমরা ডেকেছি, কিন্তু এখনও তারা আসেনি।

এ পরিস্থিতির মধ্যে বিটিভির সংবাদকর্মীদের প্রায় সবাই বার্তাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান।

বিটিভির একজন কর্মকর্তা বলেন, আন্দোলনকারীরা জোর করে বিটিভি ভবনের প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে। মোটর সাইকেল ও গাড়িতে আগুন দেওয়ার পর অফিসে ঢুকেও ভাঙচুর করে। নিচতলার ডিজাইন সেকশন থেকে কম্পিউটার খুলে নিয়ে গেছে, এসি খুলে নিয়ে গেছে। সম্প্রচার বন্ধেরও চাপ দিয়েছে। হামলার খবর পেয়ে পরে বিজিবি আসে।