আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খানকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আলোচিত কোম্পানি ‘সামিট গ্রুপ’ ফারুক খানদের পারিবারিক ব্যবসা। তার বড় ভাই আজিজ খান সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান।
সোমবার গভীর রাতে ঢাকার সেনানিবাস এলাকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রাখা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের উপ- কমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান।
র্যাবের আইন গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস বলেন, তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাবে।
দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আলোচিত কোম্পানি ‘সামিট গ্রুপ’ ফারুক খানদের পারিবারিক ব্যবসা। তার বড় ভাই আজিজ খান সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান। অর্থ পাচারের তদন্তের অংশ হিসেবে সম্প্রতি আজিজ খান, ফারুক খানসহ তাদের পরিবারের ১১ সদস্যের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সামরিক বাহিনীর চাকরি ছেড়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া ফারুক খান গোপালগঞ্জ-১ আসনের ছয়বারের এমপি।
২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ যে সরকার গঠন করেছিল, সেখানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ফারুক খানকে। এর আগে ২০১১-১৩ সালেও তিনি এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তার আগে কিছুদিন ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
ফারুক খানকে ঠিক কোন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি পুলিশ বা র্যাব। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন থামাতে দমন-পীড়নের ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে, তার কয়েকটিতে ফারুক খানও আসামি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবল গণ আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ অগাস্ট ভারতে পালিয়ে গেলে আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে।
ওই দিন সকাল ১০টার দিকে বাইপাইলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সুমন ইসলাম নামের এক মাদ্রাসা ছাত্র। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফারুক খানকেও আসামি করা হয়।
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও প্রভাবশালী সংসদ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক রাজনীতিবিদ এখন কারাগারে।