ছাত্ররা জনগণকে নিয়ে বিপ্লব সংগঠিত করে বিজয়ী হেয় নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে। ৫ আগস্ট থেকে নতুন এক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রকে দুর্নীতি ও অনিয়মে ডুবিয়ে দিয়ে যে ত্রাস ও অরাজকতার সৃষ্টি করা হয়েছিল, ছাত্ররা সেই সিস্টেমকে একেবারে গুড়িয়ে দিয়েছে। ছাত্রদের সময়োপযোগী এই বিপ্লব সমৃদ্ধ এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী এই সরকারকে সহযোগিতা করা সবারই নৈতিক দায়িত্ব।
সোমবার রাজধানীর বারিধারা ব্লক- জি, রোড-২০ , হাউস নং ১ এ অনুষ্ঠিত গুড গভের্নেন্স ফোরাম বাংলাদেশ এর সভায় উপস্থিত হয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ৫ আগস্টের আগেও ভয়ের এক পরিবেশ ছিল। মানুষ কথা বলতে পারতো না। সাংবাদিকরা সরকারের মুখপাত্র হয়ে গিয়েছিল। মুষ্টিমেয় সাংবাদিক ও মিডিয়া তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। সমাজে সুশাসন তো দূরে থাক, দুঃশাসন আর নিপীড়নে জনগণ অসহায় পড়েছিল। ছাত্ররা প্রথমে কোটার বৈষম্য নিয়ে মাঠে নামে। এরপর একে একে অন্য বৈষম্যগুলো নিয়েও তারা সোচ্চার হয়। তাদের যৌক্তিক ওই আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ছাত্রজনতার গণআন্দোলনে রূপ নেয়। জুলাই মাসের আন্দোলনটি গিয়ে ঠেকে আগস্টে। কিন্তু শত শহীদের রক্ত দানের মাস জুলাইকে ছাত্ররা ভোলেনি। তারা আগস্টেও জুলাই কাউন্ট করতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৬ জুলাই তথা ৫ আগস্ট স্বৈরশাসনের ইতি ঘটে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক বিচারপতি মকবুল সিকদার, ফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক (ঢাবি) ডা. সুকমল বড়ুয়া, ফোরাম সেক্রেটারি শরিফুল ইসলাম খান, ফোরামের উপদেষ্টা ও প্রিয়দেশ এর সম্পাদক লুৎফর রহমান হিমেল, ফোরামের নির্বাহী সদস্য মেজর আমিন আহাম্মেদ আফসারি, লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা ক্যাপিটাল গার্ডেন এর প্রেসিডেন্ট লায়ন খান আকতারুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য ও গ্রোথ টেকনোলজির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম খান, সদস্য কামরুজ্জামান প্রমুখ।