চার বছর আগের মার্কিন নির্বাচনের ফল ভুয়া ছিল : ট্রাম্প

প্রিয়দেশ ডেস্ক
4 November 2024 1:37 pm
অর্থনীতির মন্দাভাব ডেমোক্রেট পার্থী কমলা হ্যারিসকে বেকায়দায় ফেলবে, বাড়তি সুযোগ দেবে ট্রাম্পকে।

অর্থনীতির মন্দাভাব ডেমোক্রেট পার্থী কমলা হ্যারিসকে বেকায়দায় ফেলবে, বাড়তি সুযোগ দেবে ট্রাম্পকে।

মার্কিন নির্বাচনের একেবারে শেষ মূহুর্তের প্রচার হয়ে গেল। শেষবেলার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনী ফল নিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। সেবার ট্রাম্পকে হারিয়ে হোয়াইট হাউসের মসনদে বসেছিলেন ডেমোক্রেট জো বাইডেন। আর এই ফল মেনে নিতে পারেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগের দিন চার বছর আগের ফল নিয়ে নয়া সুর শোনা গেল রিপাবলিকান শিবিরের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের গলায়।

রবিবার পেনসিলভানিয়ায় প্রচারে গিয়ে তার সাফ বক্তব্য, ২০২০ সালের ফলাফল ভুয়া ছিল। তার উচিত হয়নি, ওই ফলের ভিত্তিতে হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যাওয়া। পাশাপাশি ট্রাম্প এই ইঙ্গিতও দিলেন, নির্বাচনের দিন সময়মতো বের হবেন বাসার বাইরে।

প্রচারের মধ্যে ডেমোক্রেটদের ‘দানব’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে নতুন ভোটের বিষয়েও অভিযোগ করেছেন যা দেখায় যে তিনি আর আইওয়াতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না। আইওয়া এমন একটি রাজ্য যেখান থেকে তিনি দু’বার জয়ী হয়েছেন। ট্রাম্প তার বক্তৃতার বেশিরভাগ সময় ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের দ্বারা প্রতারণার ভিত্তিহীন দাবিকে অস্বীকার করে গেছেন। সেইসঙ্গে নির্বাচনের সততা সম্পর্কে সন্দেহের বীজ বপন করে গেছেন।
ট্রাম্প লিটিজে তার সমাবেশের সময়েও দাবি করেছেন যে, তার হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত হয়নি। তিনি দাবি করেছেন, মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত তার প্রশাসনের অধীনে আরও সুরক্ষিত ছিল। যদিও ট্রাম্পের উপদেষ্টারা তাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন যে আইওয়ার জরিপটি ঠিক ছিল না , কিন্তু একটি বিষয় স্পষ্ট নারী ভোটাররা কমালার দিকে ঝুঁকেছেন।

জরিপের ফলাফল ফোকাস করে যে, আইওয়াতে ৫৬ শতাংশ নারী হ্যারিসের পক্ষে, ৩৬ শতাংশ ট্রাম্পের পক্ষে। এদিকে ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় হ্যারিসের প্রচার টিমের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘ট্রাম্পের জন্য এই নির্বাচনটি আসলে তার নিজের অভিযোগ জানানোর জায়গা মাত্র। তিনি আমেরিকান জনগণকে নিয়ে ভাবেন না।’

ট্রাম্প তার একাধিক বক্তৃতায় ভিত্তিহীনভাবে দাবি করেছেন, ডেমোক্রেটরা এই ভোট চুরি করার জন্য এত কঠিন লড়াই করছে। তারা সমস্ত অর্থ ব্যয় করছে ভোটিং মেশিনে কারচুপি করতে।’ নারীদের কাছে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন দেখে আরও বেশি পুরুষ ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প। ডানপন্থী দলের নেতা চার্লি কারকের মতে, পুরুষরা ঘরে থাকলে কমালা প্রেসিডেন্ট। এটা সহজ। প্রাথমিক ভোটগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

এদিকে মনে কঠিন জেদ নিয়ে কমালা হ্যারিস ওয়াশিংটনে বলেছেন, ‘আমরা এই পরিস্থিতির জন্য তৈরি যে, উনি (ট্রাম্প) এবারও জেতার জন্য সংবাদমাধ্যম থেকে জনতা সকলকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবেন। কিন্তু আমরাও থেমে থাকবো না। পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত।’

হ্যারিসের আরো দাবি, প্রথম দিন নির্বাচিত হলে ডোনাল্ড ট্রাম্প শত্রুদের তালিকা নিয়ে সেই অফিসে যাবেন। আর আমি নির্বাচিত হলে আমেরিকান জনগণের জন্য কী করব তার তালিকা নিয়ে অফিসে যাবো।’