সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পর বিএফআইইউ ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এই ‘সাংবাদিকদের’ ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য চায়।
দেশের ২৮ ‘সাংবাদিকের’ ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তাদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে বিএফআইইউ। এদিকে ২০ জনের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের কথা জানায় পিআডি।
সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পর বিএফআইইউ ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে এই ‘সাংবাদিকদের’ ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য চেয়েছে। তাঁদের নামে কোনো ব্যাংকের লকার, সঞ্চয়পত্র, ক্রেডিট কার্ডসহ অন্যান্য কোনো আর্থিক উপকরণ রয়েছে কি না বা টাকাপয়সার লেনদেন হয়েছে কি না, এসব তথ্য জানতে চেয়েছে।
যেসব ‘সাংবাদিকের’ তথ্য চাওয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন—
১. বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক নঈম নিজাম
২. জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন
৩. ডিবিসি নিউজের হেড অব নিউজ জায়েদুল হাসান পিন্টু
৪. এবিনিউজ২৪ ডটকমের প্রধান সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়
৫. কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী
৬. এটিএনের জ ই মামুন
৭. বাংলা ইনসাইডারের সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর
৮. নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ
৯. বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিটি এডিটর মির্জা মেহেদী তমাল
১০. বাংলাদেশ প্রতিদিনের চিফ রিপোর্টার জুলকারনাইন রনো
১১. সমকালের সম্পাদক আলমগীর হোসেন
১২. বাসসের মধুসূদন মণ্ডল
১৩. ডিবিসির মাসুদ আইয়ুব কার্জন
১৪. আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মইনুল ইসলাম
১৫. ইত্তেফাকের সাবেক সাংবাদিক ফরাজী আজমল হোসেন
১৬. বৈশাখী টিভির অশোক চৌধুরী
১৭. ইডির এক্সিকিউটিভ এডিটর রাহুল রাহা,
১৮. ডেইলি সানের সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস
১৯. নিউজ টোয়েন্টিফোরের ডেপুটি চিফ নিউজ এডিটর আশিকুর রহমান শ্রাবণ
২০. যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি (সাবেক) আবদুল্লাহ আল মামুন
২১. স্বদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন
২২. দৈনিক মুখপাত্রের সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন
২৩. ডিবিসি নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি আদিত্য আরাফাত
২৪. এটিএন নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি তাওহিদুল ইসলাম সৌরভ
২৫. যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মামুনুর রশীদ
২৬. সাংবাদিক শ্যামল সরকার
২৭. দৈনিক ইত্তেফাকের নগর সম্পাদক আবুল খায়ের
এবং
২৮.দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রশাসক সন্তোষ শর্মা।
প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল
দেশের ২০ ‘সাংবাদিক’ ও ব্যক্তির প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি)। সোমবার এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীরের সই করা আদেশে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালার আলোকে এসব সাংবাদিকের অনুকূলে তথ্য অধিদপ্তরের দেওয়া স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।
যে সাংবাদিকদের কার্ড বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা হলেন—
১. প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের সাবেক মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ
২. নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ
৩. একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল হক
৪. একাত্তর টিভির বিশেষ প্রতিনিধি ফারজানা রুপা
৫. ওমেননিউজ২৪ ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদা ইয়াসমিন
৬. দ্য ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী
৭. ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত
৮. বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক নঈম নিজাম
৯. এবিনিউজ২৪ ডটকমের প্রধান সম্পাদক সুভাস চন্দ্র সিংহ রায়
১০. সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবীর
১১. এটিএন নিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদক মুন্নী সাহা
১২. আমাদের সময় ডটকমের প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান
১৩. দৈনিক মুখপাত্রের সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসাইন
১৪. দৈনিক বাংলার বিশেষ প্রতিনিধি ফরাজী আজমল হোসেন
১৫. একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ
১৬. দৈনিক ঢাকা টাইমসের সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান
১৭. বাসসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ
১৮. ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা
১৯. বৈশাখী টিভির বার্তা প্রধান অশোক চৌধুরী
এবং
২০. ডিবিসি নিউজের সম্পাদক প্রণব সাহা।