আওয়ামী লীগে সুসময় চলছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী এই রাজনৈতিক দলটি টানা তিন মেয়াদে এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। ক্ষমতা মানেই সুদিন, আর সুদিন মানেই দলে শুভাকাঙ্খীদের ভিড়। আওয়ামী লীগের নৌকাতেও এখন শুভাকাঙ্খীদের ভিড়ে স্বাভাবিকভাবে নড়াচড়া করার জো নেই। দলের সাধারণ সম্পাদক এদের অনেককে ‘কাউয়া’ বলেছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার এক রাজনীতিকের নাম সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (৫ মে ১৯৪৫ – ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। নিজের ললাটে সংস্কারপন্থী তকমাটা সেঁটে যাবার পর থেকেই যে ষড়যন্ত্রের পাকেচক্রে পড়া শুরু, যেটার সমাপ্তি ঘটে তাঁর এপিএস ফারুকের কথিত ”টাকার বস্তা” নাটকে। তাই নামের মতোই সেনগুপ্ত বাবু গুপ্ত ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে এক ট্রাজিক হিরো হিসেবে আবির্ভূত হন রাজনৈতিক জীবনের শেষদিনগুলোতে।
সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার অভাব অনেক দিন ধরেই। আমরা শুধু মাঝেমধ্যে ছুটছি বস্তুনিষ্ঠতার দিকে। সেটিও আবার নিজেদের স্বার্থের বস্তুনিষ্ঠতা। নিজেদের অনুকূলে আছে, দাও প্রকাশ করে। অনুকূলে নেই, চেপে যাও। যারফলে দেখি একটি ব্যাংক কেলেংকারির সংবাদ। এরপর আর সেই সংবাদের ফলোআপ নেই। কারণটা কি?
প্রায় তেত্রিশ বছর ধরে এই পত্রিকা বিক্রির পেশায় নিমগ্ন ছিলেন খুকুমনি। তিনি হয়তো শুধু বিক্রিই করেননি, পড়েছেনও তাঁর প্রিয় পত্রিকাগুলো। যে কারণে শিরদাঁড়া কখনো বাঁকা করেননি তিনি। তিনি এজেন্টদের কাছ থেকে নগদ টাকা দিয়ে খবরের কাগজ কিনে নিতেন, কখনও বাকি রাখতেন না।
আপনি যে সকালের নাস্তাটা খাচ্ছেন, ঠিক আছে তো? দুপুরে যে ভাতটা খাচ্ছেন, সেই চালে কি পরিমান বিষাক্ত পাউডার ছিল, খোঁজ নিয়েছেন কোনোদিন? সকাল দুপুর রাতে যে দুধটা দিয়ে চা খাচ্ছেন, দুধটা দুধ তো, নাকি কৃত্রিম কিছু? টসটসে আঙুরটি যে টুপ করে মুখে পুরলেন, তাতে যে স্বাস্থ্যের জন্য ভয়ঙ্কর ফরমালিন ছিল না, তার গ্যারান্টি কি?
মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই দেখে এসেছে আশপাশের প্রিয় মানুষগুলো একে একে মরে যাচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মানুষ আর এই সুন্দর পৃথিবীতে অবস্থান করতে পারে না। এই পৃথিবীর মায়া তাকে ছাড়তেই হয়। এ কারণেই প্রাচীন কালের রাজা-বাদশারা চাইতেন অমর হতে।