২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও কালো অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটেছে। ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা প্রায় ১৫ বছরের অপশাসন শেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে। এই ঘটনা দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটকে এক নতুন অধ্যায়ের দিকে নিয়ে গেছে।
শেখ হাসিনা ওয়াজেদের আকস্মিক পদত্যাগের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পৌঁছেছে। এই পদত্যাগ, যা একটি বৃহত্তর গণ অভ্যুত্থানের ফলে ঘটেছে এবং এতে ৭৫৭ এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, (সূত্র-প্রথম আলো) এবং প্রায় ৭২ ঘণ্টা বাংলাদেশ কার্যত সরকারবিহীন ছিল।
ছাত্ররা, তরুণরা দেশের কোটা সিস্টেম নিয়ে যে আন্দোলনটা করলো, যেটি কিনা শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে রূপ নিল। আর অন্তিমে গিয়ে ঘটলো সরকারের দুঃশাসনের ইতি। আন্দোলনটা ছিল মূলত শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক সৃষ্ট দেশের ব্যাড সিস্টেমের বিরুদ্ধে। ওই ব্যাডসিস্টেমেরই একটি বাইপ্রোডাক্ট ছিল চাকরির কোটা।
আওয়ামী লীগে সুসময় চলছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী এই রাজনৈতিক দলটি টানা তিন মেয়াদে এখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। ক্ষমতা মানেই সুদিন, আর সুদিন মানেই দলে শুভাকাঙ্খীদের ভিড়। আওয়ামী লীগের নৌকাতেও এখন শুভাকাঙ্খীদের ভিড়ে স্বাভাবিকভাবে নড়াচড়া করার জো নেই। দলের সাধারণ সম্পাদক এদের অনেককে ‘কাউয়া’ বলেছেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার এক রাজনীতিকের নাম সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (৫ মে ১৯৪৫ – ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)। নিজের ললাটে সংস্কারপন্থী তকমাটা সেঁটে যাবার পর থেকেই যে ষড়যন্ত্রের পাকেচক্রে পড়া শুরু, যেটার সমাপ্তি ঘটে তাঁর এপিএস ফারুকের কথিত ”টাকার বস্তা” নাটকে। তাই নামের মতোই সেনগুপ্ত বাবু গুপ্ত ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে এক ট্রাজিক হিরো হিসেবে আবির্ভূত হন রাজনৈতিক জীবনের শেষদিনগুলোতে।
সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার অভাব অনেক দিন ধরেই। আমরা শুধু মাঝেমধ্যে ছুটছি বস্তুনিষ্ঠতার দিকে। সেটিও আবার নিজেদের স্বার্থের বস্তুনিষ্ঠতা। নিজেদের অনুকূলে আছে, দাও প্রকাশ করে। অনুকূলে নেই, চেপে যাও। যারফলে দেখি একটি ব্যাংক কেলেংকারির সংবাদ। এরপর আর সেই সংবাদের ফলোআপ নেই। কারণটা কি?